মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে দেশটির সামরিক বাহিনীর (জান্তা বাহিনীর) বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫২ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় উদ্ধারকর্মী ও একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীর বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেনার নিউজ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয়।আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা এএফপিকে বলেছেন, বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাখাইনের রামরি দ্বীপের কিয়াউক নি মাউ শহরে সেনাবাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ধরে যাওয়া আগুনে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সেনাবাহিনীর হামলায় ৪০ বেসামরিক নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।তবে স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য এএফপিকে জানান, জান্তাবাহিনীর হামলায় ৪১ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন।ওই উদ্ধারকর্মী বলেন, পরিবহন ব্যবস্থা কঠিন হওয়ায় কিয়াউক নি মাউ শহরে এই মুহূর্তে আমরা তাদের চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে পারছি না। এছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। এ হামলার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি জান্তা বাহিনী। এর আগে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, জরুরি অবস্থা ঘোষণাদাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, জরুরি অবস্থা ঘোষণামাইনাস ২০ ডিগ্রিতে নামতে পারে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রামাইনাস ২০ ডিগ্রিতে নামতে পারে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রাএরপর ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তা বাহিনীর নৃশংস হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক গণতন্ত্রপন্থি সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।